সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর এখন অনেকটাই স্বাভাবিক রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ক্যাম্পাস। ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ার পর তাদের কোনো শোরগোল নেই। তবে তাদের পথেই হাঁটছে ছাত্রদল। ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার ও হল দখলের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। তাদের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা। যদিও এসব অভিযোগের দায় নিতে নারাজ ক্যাম্পাস শাখা ছাত্রদল।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশীদ, অধ্যাপক ড. আয়েশা আক্তার, সহযোগী অধ্যাপক রুহুল আমিন ও দুজন কর্মকর্তার রুমে তালা লাগিয়ে দেন ছাত্রদল সমর্থিত শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা আহসান হাবীব, জিব্রিল শরীফসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
তালা দেওয়া প্রসঙ্গে জিব্রিল শরীফ বলেন, ‘যে সব শিক্ষক ছাত্র আন্দোলনের সরাসরি বিরোধিতা করেছিলেন, যারা নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পদক্ষেপ গ্রহণে দীর্ঘসূত্রতার জন্যই আমরা প্রতিবাদস্বরূপ কর্মসূচি পালন করি। কিন্তু কারও প্রতি অন্যায় করা হয়নি।’
জুলাই আন্দোলনে যারা সরাসরি ছাত্রদের বিরোধিতা করেছিলেন, লাঠি হাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন, ফেসবুকে সরব ছিলেন ছাত্রদের বিরুদ্ধে, যারা তখন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হলে থাকতে দিচ্ছিলেন না, সেসব শিক্ষার্থীকে কীভাবে এখন হলে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়।-নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থী
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে গিয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটে। অনেক শিক্ষার্থীকে হল ছাড়তে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ আছে।